কুষ্টিয়ায় একটি মানহানি মামলায় জামিন নিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান। হামলায় তার মাথা ও মুখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং তার বহনকারী গাড়িটিও ভাঙচূর করা হয়েছে।
জানা গেছে, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাটি দায়ের হয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকী সম্পর্কে কটূক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার কারণে। এই মামলায় গতকাল সকালে মাহমুদুর রহমান কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে জামিন নিতে আসেন। এ সময় আদালতের বাইরে ছাত্রলীগের প্রায় অর্ধশত কর্মী লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান নেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এম মোর্শেদ তাকে ১০ হাজার টাকা জামানতে স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাহমুদুর রহমান আদালত চত্বর ত্যাগ করতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তার দিকে স্যান্ডেল ছুড়ে মারেন এবং চারপাশ থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করেন। এরপর তারা লাঠি-সোটা নিয়ে তার গাড়িতে হামলা চালান, যার ফলে গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায় এবং কয়েকটি ইট তার মাথা ও মুখে আঘাত করে। এতে তার কপাল ও মুখ কেটে রক্তাক্ত হয়ে যান।
হামলার পর তাকে আইনজীবীরা একটি চেম্বারে নিয়ে যান, যেখানে আবার হামলা হয়। হামলাকারীদের অনেকের মুখে গামছা বাঁধা ছিল। হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এবং নীরব দর্শক ছিল। মাহমুদুর রহমানকে পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে হয়।
এ ঘটনার পর বিভিন্ন সংগঠন, including বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), এবং দেশব্যাপী সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠনগুলোও এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে।