বাশার আল আসাদ, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট, তার শাসনকালে নৃশংসতার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। সিরিয়ায় ২০১১ সালের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে আসাদ সরকার বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার অভিযোগের শিকার হয়। তার শাসনামলে কিছু নৃশংসতার তালিকা:
- সামরিক হামলা ও বেসামরিক জনগণের উপর আক্রমণ: আসাদ সরকার কর্তৃক বেসামরিক জনগণের উপর বিমান হামলা, আর্মি-ট্যাঙ্ক, এবং মর্টার ব্যবহার করার ঘটনা ঘটেছে। এগুলো সাধারণত সরকারি বাহিনীর বিরোধী দল এবং প্রতিবাদকারীদের দমন করতে করা হয়েছে।
- গ্যাস আক্রমণ (সারিন গ্যাস হামলা): ২০১৩ সালে গৌটা এলাকায় সিরিন গ্যাস হামলা সংঘটিত হয়, যার ফলে শতাধিক মানুষ মারা যায়। এই হামলার জন্য আসাদ সরকারের দিকে আঙুল উঠেছে।
- শহর ধ্বংস এবং উদ্বাস্তু: সরকারি বাহিনী বারবার শহর ও গ্রাম ধ্বংস করেছে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। প্রায় ১ কোটি ২০ লাখের বেশি সিরীয় নাগরিক উদ্বাস্তুর শিকার।
- মুখবন্ধ কারাগার ও নির্যাতন: আসাদ সরকারের অধীনে, বিরোধী দলের সদস্য, মানবাধিকার কর্মী এবং সাধারণ নাগরিকদের ব্যাপকভাবে আটক এবং নির্যাতন করা হয়েছে। জনপ্রিয় স্থান যেমন 'সলিন' এবং 'Ṣidnaya' কারাগারে এসব নির্যাতনের ঘটনার নজির রয়েছে।
- বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর উপর নির্যাতন: বিশেষত সুন্নি মুসলিম, কুর্দি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে আসাদ সরকার বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করেছে।
- রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার: আন্তর্জাতিক তদন্তে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র (বিশেষ করে ক্লোরিন গ্যাস) ব্যবহার করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব আক্রমণ বৈশ্বিক শান্তির জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে।
- বাচ্চাদের উপর নির্যাতন: শিশুরাও আসাদ সরকারের আক্রমণের শিকার হয়েছে, যেখানে তাদের হত্যা, শারীরিক নির্যাতন এবং অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
এইসব ঘটনা সিরিয়ার যুদ্ধকে আরো জটিল এবং মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার এর নিন্দা জানালেও, আসাদ সরকার প্রায়ই এর জন্য দায়মুক্তি পেয়ে এসেছে।