প্রশ্ন-উত্তর ১
মোল্লা: আল্লাহ তাঁর বান্দাদের কাছে কুরআন পাঠিয়েছেন পড়ার জন্য, বোঝার জন্য। হায়রে মুসলমান! এত বই পড়ে, এত ডিগ্রি অর্জন করে, অথচ কুরআনে কী আছে জানে না। কুরআনটা বুঝে পড়ে না।
প্রশ্নকর্তা: হুজুর, আমি অর্থসহ সম্পূর্ণ কুরআন পড়েছি। আপনাদের অনেক কথা তো কুরআনের অনেক আয়াতের সাথে মেলে না।
মোল্লা: আপনাকে অর্থসহ কুরআন পড়তে বলেছে কে? কুরআন বোঝা কি এত সহজ? কুরআন দ্বারা তো অনেকেই গোমরাহ হয়ে যায়।
প্রশ্ন-উত্তর ২
মোল্লা: হাদিস অস্বীকারকারীরা আপনাকে এ কথা বলে ধোঁকা দেবে যে, কুরআন নামক নেয়ামতকে পরিপূর্ণ করে আল্লাহ আমাদের জন্য দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করেছেন। তিনি দ্বীনের সব তথ্য ও বিধি-বিধান কুরআনেই দিয়েছেন। (৫:৩, ১৬:৮৯)
প্রশ্নকর্তা: সূরা মায়েদার ৩ নম্বর আয়াত ও সূরা নাহলের ৮৯ নম্বর আয়াতে তো সত্যিই এ কথা আছে। তাহলে তারা তো সত্য কথাই বলছে। ধোঁকা দিচ্ছে বলছেন কেন?
মোল্লা: এ প্রশ্ন করার মানে আপনি তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে গেছেন।
প্রশ্নকর্তা: আমি তো শুধু একটা প্রশ্ন করলাম।
মোল্লা: ওলামাদের প্রশ্ন করা বেআদবি।
প্রশ্ন-উত্তর ৩
মোল্লা ১: তাদেরকে 'হাদিস অস্বীকারকারী' বলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তারা বলে, আমরা বুখারীসহ কোনো 'লাহওয়াল হাদিসে' ঈমান রাখি না, শুধু 'আহসানাল হাদিসে' ঈমান রাখি।
মোল্লা ২: এসব শব্দ এরা পায় কোথায়? আমরা তো শুধু সহিহ হাদিস আর জাল হাদিসের কথা জানি।
মোল্লা ১: আহসানাল হাদিস (৩৯:২৩) ও লাহওয়াল হাদিস (৩১:৬) শব্দগুলো কুরআনে পাওয়া গেছে।
মোল্লা ২: কুরআনের শব্দ দিয়ে কথা বলা খারেজিদের আকিদা।
মোল্লা ১: এ অঞ্চলের লোকেরা তো কওমীদেরকেই খারেজি বলে।
মোল্লা ২: তাহলে বলতে হবে, এটা মুতাজিলাদের আকিদা।
প্রশ্ন-উত্তর ৪
প্রথম বন্ধু: মুসলিম তো হতে চাই। কিন্তু ‘আহলে কুরআন’, 'আহলে হাদিস' না 'আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত' হবো?
দ্বিতীয় বন্ধু: শুনেছি ফিকহ বোঝার আগে কুরআন-হাদিস বোঝা যায় না। তাহলে ‘আহলে ফিকহ’ নেই কেন? এছাড়া ‘আহলে সুন্নাত...’ আছে, কিন্তু ‘আহলে ফরজ, ওয়াজিব, নফল’ নেই কেন?
প্রথম বন্ধু: তাহলে এখন কী করা যায়?
দ্বিতীয় বন্ধু: আসো, সবাইকে একত্র করে 'আহলে কুরআন-হাদিস-ফিকহ-ফরজ-ওয়াজিব-সুন্নাত-নফল ওয়াল জামায়াত' হতে বলি। তাহলে সবাই এক হয়ে যাবে, কেউ কাউকে আর কাফেরের ফতোয়া দিতে পারবে না।
প্রশ্ন-উত্তর ৫
প্রশ্ন: কেউ যদি কোনো হাদিস সম্পর্কে বলে, আমি রসূলের হাদিসকে অবিশ্বাস করি না, কিন্তু এই হাদিসগুলো রসূল বলেছেন বলে বিশ্বাস করি না, তাকে কি কাফের বলা যাবে?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: তাহলে যারা বলে কুরআনের বাইরে কোনো তথ্যকে ঈমানের অংশ মনে করি না বা কুরআনে উল্লেখ নেই এমন কোনো আমলকে বাধ্যতামূলক মনে করি না, তাদের কেন কাফের বলা হয়?
উত্তর: কারণ তারা শেয়ালকে ভাঙা বেড়া দেখিয়ে দিচ্ছে।
প্রশ্ন: মানে কী?
উত্তর: মানে হলো তাদের কথা প্রচার হলে কুরআনের বাইরের কোনো ধর্মকর্মই টিকে থাকবে না।